দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় বন্ধের পর আগামী ২৪ মে (পবিত্র ঈদুল ফিতরের পর) থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ১৭ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব আবাসিক হল খুলে দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ভার্চুয়ালি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
গত বছরের ১৭ মার্চ করোনার প্রাদুর্ভাব রুখতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কয়েক ধাপে বাড়ানোর পর ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়।
করোনার প্রাদুর্ভাব কমে আসায় চলতি বছরের শুরু থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়ার দাবি আসতে থাকে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সর্বশেষ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর ফটকের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন। এরপর ঢাবি, রাবিসহ আরও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে বিশ্বের অনেক দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। আমাদেরও গত ১৭ মার্চ থেকে সব স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া না হলেও দেশের সব পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ২৪ মে থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি-ক্লাস কার্যক্রম শুরু করা হবে। এর আগে ১৭ মে থেকে সব আবাসিক হল খুলে দেয়া হবে।
দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি-ক্লাস চালুর আগ পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকলেও কোন ধরনের পরীক্ষা নেয়া যাবে না। শ্রেণি-ক্লাস খোলার পর পরীক্ষা নেয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কাজ শেষ করতে হবে। ক্যাম্পাস ও হলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনে সংস্কার কাজ করারও পরামর্শ দিয়েছেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের করোনার টিকাদান নিশ্চিত করা হবে। টিকা প্রদানের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি-ক্লাস শুরু করা হবে। ইতোমধ্যে তাদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: